এই সিনেমাটা দেখা শুরু করেছিলাম এই তথ্য থেকে যে এখানে ক্যানাবলিজম নামক এক বীভৎস ব্যাপার রয়েছে তাই। কিন্তু এর মূল বিষয় কিন্তু তা ছিলো না। যাই হোক লেখা শুরু করার আগেই জানিয়ে দিতে চাই যে এই লেখাগুলো শুধুই একটু এই সিনেমা নিয়ে কথা বলা, রিভিউ জাতীয় কিছু না। আমি নিজে রিভিউ বিষয়টা পছন্দ করি না, তবে সিনেমা বিষয়ে কথা বলতে সবসময়ই ভালো লাগে।
পোস্টার দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটা সত্য কাহিনী অবলম্বনে। মানুষের চিন্তাজগতে প্রবেশ করলে বিচিত্র ধারা খুঁজে পাওয়া যায়। এই সিনেমাটি মূলত একটি বিমান দুর্ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। এখানে একটি রাগবি দল যাত্রাপখে দুর্ঘটনার শিকার হয়। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কিনা করতে পারে। মানুষ বাঁচে আশায়। পুরো সিনেমাটি কিন্তু এই জার্নি নিয়েই বানানো হয়েছে। তবে হ্যাঁ, এখানে দর্শককে ইমোশনালি ড্রাইভ করতে পরিচালক ড্রামার আশ্রয় নিয়েছেন। এটা মোটেও অপছন্দ হয়নি আমার। ছবি শেষে মনে হয়েছে নিজেকে নিজের কাছে বাঁচিয়ে রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি, আর যদি কখনো এমন সিচুয়েশনে পরি তবে বাঁচার চেষ্টা কখনোই ছাড়বো না।
এখন আসি মানুষখেকো বিষয়টাতে। আসলে এখানে যা দেখানো হয়েছে তাতে শুধুই দেখা যায় বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা। আসলে বেশিরভাগ যাত্রী এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যায়, কিন্তু তারা বরফের সাগরই বলা যেতে পারে, সেখানে নিজেদের অসহায় অবস্থায় আবিষ্কার করে। কিছু যাত্রী বিমান দুর্ঘটনায় আর পরবর্তীতে কিছু যাত্রী বৈরি আবহাওয়ায় ও পরিবেশে মারা যায়। বেঁচে থাকা যাত্রীগুলোর প্রথম যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা হলো খাদ্যের অভাব। সেই অভাব পূরণেই তারা সিদ্ধান্ত নেই যে মৃতদের দেহ তো মাংসল, তা তারা কাজে লাগাবে। সিনেমাটা দেখতে গিয়ে আমার বারবারই মনে হচ্ছিলো আসলে কিই বা করার আছে? আমি কি তাই করতাম না?
সিনেমার একটা চরিত্র খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। নাম মনে পড়ছে না, তবে সে অতি ধার্মিক, ভীতু না হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন তার ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে সে তাই বলতে থাকে, আর প্রার্থনা করতে থাকে। এতে সবাই আস্তে আস্তে যোগদান করে, একজন বাদে সম্ভবত যে এগ্নোস্টীক। এই চরিত্রটি আমায় বেশ টেনেছে, সে কিন্তু স্রষ্টাকে নিজের ভিতর ধারণ করতে চেয়েছে, অনুভব করতে চেয়েছে, আশাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছে। কেননা কেই বা আছেন আর স্রষ্টা ছাড়া?
সিনেমার একটা জিনিষ আমার কাছে বেশ কটুই লেগেছে, তা হলো নায়কদের সৌন্দর্য। ব্যাপারটা হলো একদিন গোসল না করলেই তো আমাকে বান্দরের মতো লাগা শুরু করে, কিন্তু টানা দুমাসও যেন তাদের চেহারার কিছু করতে পারে নি। উলটো দাঁড়ি বড় হয়েছে, আরও সৌন্দর্য যেনো বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই ব্যাপারটা আমরা হইতো নাও ধরতে পারি, মানে না ধরলেও চলে।
আর কিছু না। সিনেমাটি এক কথায় দুর্দান্ত। এখানে শুধু আমি এই সিনেমা নিয়ে আমার কিছু কথা বললাম, এটা কোনো ইন্টিলেকচুয়াল আলোচনা না, রিভিউ তো অবশ্যই না।
コメント